জান্নাতুল ফিরদাউস
মালদা যে দুটা জিনিসের গুনে বিখ্যাত সে দুটা হল - "ফাজলি আম" আর "পোলু চাষ"। ভালো কইরা কহিতে গেলে "রেশম চাষ"। উত্তর মালদার কথা কহিতে পারবো না, তবে দক্ষিণ মালদার মহিদে শেষ ২০ বছরে হাংরে আলিনগর অঞ্চল পোলু চাষের গুনে খুবি বিখ্যাত। দক্ষিণ মালদার মহিদে আলিনগরেই সাবনে বেশি পোলুর চাষ হয়। আলিনগরের মহিদে যদি কহি তেবে হাংরে গাঁও সামির ঘারামি টোলা( কোশি টোলা), খাঁনগাঞ্জ(মাহাজান টোলা) আর বিশ্বাস পাড়া( নাসিরউদ্দিন বিশ্বাস পাড়া) এই তিনটা টোলাতে সাবনে বেশি পোলুর চাষ হয়। অ্যাইজনে মোটামোটি ৩-৪ বাছ্ছার আগে পর্যন্ত এই তিন টোলার মোটামোটি ৯০% মানুষ আর গোটা আলিনগরের মোটামোটি ৮০% মানুষ পোলুর চাষ করত। যারা পোলুর চাষ করে নাহি বা দেখে নাহি তারা খুব একটা বেশি বুঝতে পারবে না। যদি ভালো কইরা কহিতে যায় তেবে পোলুর চাষের গুনেই হাংরে অঞ্চলের ব্যাটা- বেটিরা লেখা পড়াতে খুব পিছিযা। বাছ্ছারে ৫ বান মানে বাছ্ছারে পাঁচ বার পোলুর চাষ হয়। তেবে আঘনিয়া, চোইতা আর চোরা এই তিন বান পোলু ভালো হয় সাইগুনে এই তিন বানে সাবকাহু পোলু বেশি কইরা রাখে। সাউনিয়া আর ভাদরিয়া এই দু বানে বার্ষার গুনে পোলু ভালো হয় না। যোখোন বাড়িতে পোলু আসে তোখোন মানুষের শান্তি রহমান, চোখের নিন হারাম হইয়া যাই। চচেংড়া-বাচ্চা, বহূ-বেটি লিয়া দিন রাইত কামে লাইগা রহে।চেংড়া- বাচ্চার লেখাপড়াও বান রহে। কামের গুনে কেহু পড়তে পায় না, এমোন কি খাইতেরও ভালো মোতোন সময় পায় না।
এখনিকা এই পোলুর চাষ আর আগের মোতোন নাই। কিনে কি পোলুর চাষে আর্থিক ঝুঁকি খুব বেশি। এই চাষে যে হারে টাকা অর সময় লাগে তার তুলনায় লাভ খুব কম হয়। আর এখনিকাতো লাভই হয় না। এখনিকা আর মোটে ৩০%-৪০% মানুষ পোলু পুষছে। হামার মনে হইছে আর ২-৪ বাছ্ছারের মহিদে আলিনগরের পলুর চাষ শেষ হইয়া যাইবে। সরকারও এই ব্যাপারে কোনো ধ্যান দায় না।
0 Comments